বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান – প্রশ্ন ও উত্তর

 বাংলাদেশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান – প্রশ্ন ও উত্তর

কুতুবদিয়া বাতিঘর: ২০০ বছরের পুরোনো এক বাতিঘর  রয়েছে চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায়। কর্ণফুলি নদীর মোহনা থেকে ৪০ মাইল দূরে বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়।ক্যাপ্টেন হেয়ারের পরিচালনায় এবং ইঞ্জিনিয়ার জে এইচ টুগুডের নকশায় এ বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়।১৮৪৬ সালে বাতিঘরটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। সে সময়ে এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৪২৮ টাকা। বাতিঘরের ভিত্তিভূমিতে পাথর স্থাপন করা হয়। ভিত্তির উপর গড়ে তোলা হয় ১২০ ফুট উচ্চতার টাওয়ারটি।১৮৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে স্থায়ী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। বিরামহীন আলো দেখিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের প্রায় ৩৫ কি.মি দূর থেকে দিকনির্দেশনা দিত।১৯৬৫ সালে একই এলাকায় অর্থাৎ এর দু’কিলোমিটার পূর্বে বাঁধের ভেতরে প্রায় সাত একর জমিতে আরো একটি বাতিঘর নির্মাণ করে হয়। ১৯৯১ সেলের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে পুনঃ নির্মিত বাতিঘরটি আবারও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

প্রশ্ন: বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত দ্বীপ কোনটি?
উত্তর: কুতুবদিয়া।
প্রশ্ন: কুতুবদিয়া বাতিঘরটি প্রথম কত সালে নির্মিত হয়?
উত্তর: ১৮৪৬ সালে।

Ai image

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর' (সংক্ষেপেঃবিএমডি) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় এবং ঢাকা আগারগাঁও এ অবস্থিত। ১৮৬৭ সালে যশোর ও নারায়ণগঞ্জে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে ‘পর্যবেক্ষণ সার্ভিস’ এর কার্যক্রম শুরু হয়। সে-সময় ‘আবহাওয়া সার্ভিস’ নামে পরিচিতি পায়।স্বাধীনতার পর এটি ‘আবহাওয়া দপ্তর’ নামে এবং পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর’ করা হয়।

প্রশ্ন: আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রধন কার্যালয় কোথায় অবস্থিত? 
উত্তর : ঢাকা আগারগাঁও।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
উত্তর: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন।প্রথম নারী প্যারাট্রুপার: বাংলাদেশের প্রথম নারী প্যারাট্রুপারের গৌরব অর্জন করেছেন ক্যাপ্টেন জান্নাতুল ফেরদৌস।তিনি ১২ ফেব্রুয়ারি,২০১৩ সালে জালালাবাদ সেনানিবাসের পানিছড়া প্যারাট্রুপিং জোনে তিনি
১ হাজার ফুট উঁচু থেকে জাম্পিং করে এই কৃতিত্ব গড়েন।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম নারী প্যারাট্রুপার কে?
উত্তর: জান্নাতুল ফেরদৌস।
কিয়োটো প্রটোকল: বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধকল্পে জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর জাপানের কিয়োটো শহরে ‘কিয়োটো প্রটোকল' গৃহীত হয় এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ সালে চুক্তিটি কার্যকর হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী উন্নত দেশসমূহ ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ৫.২% হ্রাস করার কথা ছিল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় কপ-১৮ সম্মেলনে "এর মেয়াদ ৮ বছর বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সাল পর্যন্ত করা হয়। ২০২০ সালে এর মেয়াদ শেষ হলে চুক্তিটি আর নবায়ন না করে UNFCCC-এর প্যারিস চুক্তির মাধ্যমে কিয়োটা প্রটোকলের লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষর করে ২০০১ সালে এবং কার্যকর করে ২০০৫ সালে।

প্রশ্ন :কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষর করে কত সালে?
উত্তর: ২০০১ সালে।
প্রশ্ন :কিয়োটো প্রটোকলের উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: উন্নত দেশসমূহ ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ৫.২% হ্রাস করবে।
প্রশ্ন: কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিল কত সালে?
উত্তর: ১৯৯৭ সালে।
প্রশ্ন : কিয়োটো প্রোটোকল' কিসের সাথে সম্পর্কিত?
উত্তর : পরিবেশের ভারসাম্য।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url