সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী – প্রশ্ন ও উত্তর
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী – প্রশ্ন ও উত্তর
কুয়াকাটা: পটুয়াখালী কে সাগরকন্যা বলা হয়। কারণ কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র। কুয়াকাটা বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখানে থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই একত্রে দেখা যায়। তাই এটি পর্যটকদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান । কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অবস্থানের কথা বিবেচনা করে পটুয়াখালী কে সাগর কন্যা বলা হয়।সমুদ্র সৈকতটি লম্বায় ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) এবং বিস্তৃতিতে ৩ কিলোমিটার (১.৯ মাইল)।
✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন সমুদ্র সৈকত হতে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত একত্রে দেখা যায়।
উত্তর: কুয়াকাটা।
✬প্রশ্ন: সাগরকন্যা কোন এলাকার ভৌগোলিক নাম?
উত্তর: পটুয়াখালী।
✬প্রশ্ন: কুয়াকাটার আায়েতন কত?
উত্তর : লম্বায় ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) এবং বিস্তৃতিতে ৩ কিলোমিটার (১.৯ মাইল)।
চলনবিল: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিলের নাম চলনবিল। রাজশাহী বিভাগের ৩ টি জেলা, আটিটি উপজেলা, ৬০টি ইউনিয়ন, ১৬০০ গ্রাম এবং ১৪টি নদী নিয়ে এর বিস্তৃতি। এছাড়া রয়েছে ছোট বড় অনেক জলাশয়। নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিস্তৃত অংশ জুড়ে যে জলভূমি বিস্তৃত। শুকনা মৌসুমে এ বিলে পানি থাকে না। ব্রহ্মপুত্র নদ যখন তার প্রবাহপথ পরিবর্তন করে বর্তমান যমুনায় রূপ নেয়, সে সময়েই চলনবিলের সৃষ্টি। সৃষ্টি লগ্নে চলনবিলের আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে এর আয়তন অনেক কমে এসেছে। ১৯১৯ সালে ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়ার হিসেব মতে, চলনবিলের আয়তন ৫০০ বর্গমাইল বা প্রায় ১৪২৪ বর্গকিলোমিটার। অপরদিকে ১৯৬৮ সালের জরিপ মোতাবেক চলনবিলের আয়তন ৮০০ বর্গমাইল বা প্রায় ২০৭২ কিলোমিটার।বর্তমানে চলনবিল অনেকখানি হ্রাস পেয়ে আয়তন দাঁড়িয়েছে ১১৫০ র্গকিলেমিটারে। সংকুচিত হওয়ার পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। বর্ষা মৌসুমে বিলে পলি পড়া (২২২.৫ মিলিয়ন ঘনফুট), অপরিকল্পিত বসতবাড়ি স্থাপন, জাতীয় প্রয়োজনে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে নাটোরের বনপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটারের মহাসড়ক নির্মাণ উল্লেখযোগ্য।
✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল কোনটি?
উত্তর: চলন বিল।
✬প্রশ্ন: চলন বিল কোন বিভাগে অবস্থিত?
উত্তর: রাজশাহী বিভাগ।
✬প্রশ্ন: চলন বিল কয়টি জেলা নিয়ে বিস্তৃত?
উত্তর : ৩ টি জেলা নিয়ে বিস্তৃত। জেলা ৩টি হল: নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা।
শিশু অধিকার: জাতিসংঘ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার কনভেনশন (সিআরসি) ঘোষণা করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশগুলোর একটি। শিশু অধিকার কনভেনশনের প্রথম অনুচ্ছেদেই বলা হয়েছে, ‘আঠারো বছরের কম বয়সী সকল মানুষই শিশু।’ শিশু অধিকার কনভেনশন ঘোষণার ১৫ বছর আগেই বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন প্রণয়ন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে ১৯৭৪ সালের শিশু আইন রহিত করে প্রণীত হয় শিশু আইন-২০১৩।
✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের শিশু আইন প্রণীত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৭৪ সালে।
✬প্রশ্ন: কত সালে জাতিসংঘ 'সিআরসি' ঘোষণা করে?
উত্তর : ১৯৮৯ সালে।
✬প্রশ্ন: সিআরসি কি?
উত্তর : শিশু অধিকার কনভেনশন।
✬প্রশ্ন: শিশু অধিকার কনভেনশন অনুযায়ী শিশুর সঙ্গ কি?
উত্তর : শিশু অধিকার কনভেনশনের প্রথম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আঠারো বছরের কম বয়সী সকল মানুষই শিশু।
✬প্রশ্ন : কত সালের শিশু আইন রহিত করে ২০১৩ সালের শিশু আইন প্রণীত হয়।
উত্তর: ২০১৩।