বাংলাদেশের চাকরির বাজার

 বাংলাদেশের চাকরির বাজার 


বর্তমানে দেশের চাকরির বাজার দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক । একদিকে যেমন আইটি, ব্যাংকিং, ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইলস ইত্যাদি ক্ষেত্রে  কর্মসংস্থানের সম্ভবনা  তৈরী  হচ্ছে, অন্যদিকে বেকারত্ব, অদক্ষতা, এবং অসমতাও একটি বড় সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে ।

বাংলাদেশের চাকরির বাজার

নতুন প্রজন্মের জন্য সুযোগ

* ডিজিটাল যুগের কর্মসংস্থান: আইটি, ই-কমার্স, ডাটা বিশ্লেষণ, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে চাকরির চাহিদা  বৃদ্ধি পাচ্ছে।

* স্টার্টআপ জগৎ: দেশে স্টার্টআপের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দ্বার  উন্মোচিত হয়েছে ।

* ফ্রিল্যান্সিং: ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ  বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

* বিদেশে কর্মসংস্থান: বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশে ফিরে আসার পরে অনেকে ভালো চাকরি পেয়ে থাকেন।

চ্যালেঞ্জ

* দক্ষতার অভাব: শিক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে অনেকে চাকরি               পাচ্ছে  না।
* বেকারত্ব: দেশের বেকারত্বের হার এখনও উদ্বেগজনক বৃদ্ধি পাচ্ছে।
* অনানুষ্ঠানিক খাত: অনেক শিক্ষিত বেকারকে অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করতে হচ্ছে।
*মজুরির অসমতা: পুরুষ ও নারী, শহর ও গ্রামের মধ্যে মজুরির অসমতা প্রকট আকার ধারণ        করেছে।
*প্রযুক্তির প্রভাব: প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে কর্মসংস্থান এর ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসছে।
*দুর্নীতি  প্রভাব: আত্মীয় করন ও অবৈধ লেনদেনজনিত কারনে অনেকেই তার যোগ্যতা অনুসারে চাকরি পায়না।

নতুন প্রজন্মের জন্য পরামর্শ

* শিক্ষা: উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
* দক্ষতা বিকাশ: আধুনিক প্রযুক্তি এবং ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
* নেটওয়ার্কিং: অন্যদের সাথে যোগাযোগ মাধ্যম সমৃদ্ধ  করা।
* উদ্যোগী হওয়া: নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্টার উদ্যগ গ্রহন করতে হবে।
* আত্মবিশ্বাসী হওয়া: নিজের উপর বিশ্বাস বজায় রাখা।

চাকরির বাজারকে  ভালো করার উপায়

* শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার: শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী যুগউপযোগি করে গড়ে তুলতে হবে।
* দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম: দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন  প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।
* ছোট ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন: ছোট ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং প্রনদনার মাধ্যমে নতুন নতুন শিল্পের বিকাশ ঘতিয়ে  নতুন নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
* সরকারি নীতিমালা: চাকরির বাজারকে আত্মীয় করন হতে বিরত রাখা ও যোগ্যতম ব্যক্তি কে নিয়োগ দেওয়ার জন্য  সরকারি নীতিমালা কঠর ভাবে অনুসরন করা।
* প্রযুক্তির ব্যবহার: প্রযুক্তির ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
অবৈধ লেনদেন প্রতিহত করা: নিয়োগের ক্ষেত্রে অবৈধলেন দেন প্রতিহত করা।

আপনার জন্য কিছু প্রশ্ন/FAQ

* কোন ক্ষেত্রে আপনি চাকরি করতে চান? 

আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার সাথে মিল রেখে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করবেন।

* আপনি কি কোন নির্দিষ্ট কোম্পানিতে কাজ করতে চান? 

বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজ দেখে তাদের সম্পর্কে জানুন।

* আপনার কোন ধরনের দক্ষতা আছে?

আপনার দক্ষতাগুলোকে আরও বিকশিত করার চেষ্টা করুন।

* আপনি কিভাবে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবেন ?

আপনার সেরা গুণাবলীগুলোকে হাইলাইট করুন।

* আপনি কি কোন মেন্টর বা গাইডের সাহায্য নিতে চান? 

একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে।

উপসংহার

দেশের চাকরির বাজার নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক সুযোগ নিয়ে আসছে। তবে এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হলে তাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত হতে হবে। শিক্ষা, মানসিক দক্ষতার বিকাশ, নেটওয়ার্কিং এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সরকার এবং বেসরকারি খাতের যৌথ প্রচেষ্টায় চাকরির বাজারকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url