বিসিএস পরীক্ষায় গণিত প্রস্তুতি
বিসিএস পরীক্ষায় গণিত প্রস্তুতি
সমাবেশ এবং সেট: গণিত পরীক্ষায় সমাবেশ এবং সেট থেকে দুইটি অংক প্রায়ই কমন থাকে। এছাড়া বিন্যাস, পরিসংখ্যান এবং সম্ভাব্যতার অংকও আসে। এক কথায়, এই বিষয়গুলো থেকে ৩ মার্কের অংক থাকবে। নবম ও দশম শ্রেণির সাধারণ গণিতই যথেষ্ট।
জ্যামিতি: রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পিথাগোরাসের উপপাদ্য এবং বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য থেকে ৩ মার্কের অংক থাকবে। নবম ও দশম শ্রেণির সাধারণ জ্যামিতি পাঠ্যসূচি যথেষ্ট।
বীজগণিত: বীজগাণিতিক সূত্রাবলি, বহুপদী উৎপাদক, সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, সরল ও দ্বিপদী অসমতা এবং সরল সহসমীকরণ থেকে ৩ মার্কের অংক থাকবে। নবম ও দশম শ্রেণির বীজগণিত পাঠ্যসূচি, বিশেষ করে ৩.১ এবং ৩.২ অধ্যায় ভাল করে অনুশীলন করতে হবে।
বাস্তব সংখ্যা: নবম ও দশম শ্রেণির সাধারণ গণিত পাঠ্যসূচি যথেষ্ট, তবে ভালো করে পড়তে হবে। একটি অংক অবশ্যই কমন পাবেন।
অঙ্কগণিত: ল.সা.গু, গ.সা.গু, শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফা, অনুপাত ও সমানুপাত এবং লাভ ক্ষতির উপর ৩ মার্কের অংক থাকবে। এই অধ্যায়গুলো অনেক বড় মনে হলেও তুলনামূলক সহজ। বিগত প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, এই অধ্যায় থেকে তেমন কঠিন প্রশ্ন আসেনি। হালকা ধারণা থাকলেই পারা যায়। কারণ এখানে ব্যাংক কিংবা অন্য চাকরী পরীক্ষার মতো কঠিন অংক আসেনা।
গণিতে ভালো করার উপায়ঃ
গণিতে ভালো করতে হলে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। যত বেশি অনুশীলন করবেন, আপনি তত বেশি দক্ষ হবেন। তবে একদিনে সব অধ্যায় করার চিন্তা করবেন না। প্রতিদিন একটা বা দুইটা অধ্যায় করুন এবং সেই অধ্যায়ের খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করুন।
সমাধানগুলো মুখস্ত না করে বুঝার চেষ্টা করুন। না বুঝলে অন্য কারো সাহায্য নিন। প্রিলি পরীক্ষায় ছোট ছোট ম্যাথ বেশি আসে, তাই ছোট ম্যাথগুলোর উপর গুরুত্ব দেবেন বেশি। স্টেপ বাই স্টেপ সমাধান করার পাশাপাশি শর্টকার্টে সমাধান করা শিখবেন।
সমাধানগুলো শুধু দেখে যাবেন না, খাতায় লিখবেন। দেখে গেলে যেটা হয়, সেটা হচ্ছে পরবর্তী সময়ে ঐ ম্যাথটা দেখলেই মনে হবে এটা তো আমি পারিই, কিন্তু সমাধান করতে গেলে দেখবেন ভুল হচ্ছে। তাই অন্তত একবার লিখে সমাধান করবেন। তাছাড়া লিখে সমাধান করলে সেটা মনেও গেঁথে যায়।
পরীক্ষার হলে আপনি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন না তাই সবসময় ক্যালকুলেটর ছাড়া ম্যাথ করার চেষ্টা করবেন।
পড়ার সময় সূত্রগুলো বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু একটা খাতায় টুকে রাখুন। আপনার প্রস্তুতি শেষে খাতাটি একটি সুন্দর নোটে পরিণত হবে।
পরীক্ষায় সবশেষে গণিত অংশের উত্তর করা উচিত। কারণ একটা গণিতের উত্তর করার সময়, আপনি অন্যান্য বিষয়ের দুইটি প্রশ্নের উত্তর করতে পারবেন। প্রথমেই কোনো গণিতের উত্তর না মিললে আমরা অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ি এবং অন্যান্য বিষয়ের জানা উত্তরও ভুল করে ফেলি।
ম্যাথ করতে গিয়ে উত্তর না মিললে পরীক্ষার হলে সেটা নিয়েই পড়ে থাকবেন না। পরের প্রশ্নে চলে যাবেন। কারণ সব প্রশ্নের মান সমান। তাই অযথা কোনো প্রশ্নকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করার দরকার নেই।
৩৫-৪৪ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রশ্ন বিশ্লেষণ – গণিত
নং | টপিক | ৪৪ | ৪৩ | ৪২ | ৪১ | ৪০ | ৩৯ | ৩৮ | ৩৭ | ৩৬ | ৩৫ |
১ | বাস্তব সংখ্যা | ১ | ২ | ||||||||
২ | ল.সা.গু, গ.সা.গু. | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ||||
৩ | শতকরা | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ২ | ১ | |||
৪ | সরল ও যৌগিক মুনাফা | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | |||||
৫ | অনুপাত ও সমানুপাত | ১ | ১ | ১ | |||||||
৬ | লাভ ও ক্ষতি | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | |||||
৭ | পাটিগণিতের অন্যান্য অংশ | ১ | ২ | ১ | |||||||
** | মোট পাটিগণিতের প্রশ্ন | ২ | ৩ | ৪ | ৪ | ৫ | ৩ | ৪ | ৩ | ৩ | ৩ |
৮ | বীজগাণিতিক সূত্রাবলী | ১ | ২ | ২ | ১ | ১ | ১ | ১ | |||
৯ | সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | |||||
১০ | সরল সহসমীকরণ | ১ | ১ | ১ | |||||||
১১ | সরল ও দ্বিপদী অসমতা | ১ | ২ | ১ | ১ | ২ | ১ | ১ | ১ | ||
১২ | সূচক ও লগারিদম | ৩ | ১ | ২ | ২ | ১ | ২ | ১ | ২ | ৩ | |
১৩ | সমান্তর ও গুণোত্তর ধারা | ৩ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ২ | ১ | ১ |
** | মোট বীজগণিতের প্রশ্ন | ৯ | ৪ | ৩ | ৬ | ৭ | ৪ | ৫ | ৬ | ৬ | ৭ |
১৪ | রেখা, কোণ, ত্রিভূজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য | ৩ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ২ | |||
১৫ | বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য | ১ | ১ | ১ | ১ | ||||||
১৬ | পরিমিতি | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | |||
** | মোট জ্যামিতির প্রশ্ন | ৪ | ২ | ২ | ২ | ১ | ১ | ২ | ৩ | ৩ | ১ |
১৭ | সেট | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ||
১৮ | বিন্যাস ও সমাবেশ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ২ | |||
১৯ | পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতা | ২ | ১ | ১ | ১ | ১ | |||||
২০ | ত্রিকোণমিতি | ১ | ১ | ||||||||
২১ | বিবিধ |
ছাড়াও কিছু কিছু টপিক থেকে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করা হয়। যেমনঃ
- ঐকিক নিয়ম
- ট্রেন ও গতিবেগ
- নৌকা ও স্রোত
- নল ও চৌবাচ্চা
- সময়, দূরত্ব ও গতিবেগ
- কাজ ও দিন
- মিশ্রণ