বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার জন্ম ইতিহাস
জাতীয় পতাকা
জাতীয় পতাকা নকশার ইতিহাস
তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রবসহ অন্য নেতারা ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে ছাত্রদের পক্ষে পতাকা উড়িয়েছিলেন । দেশ স্বাধীনের আগে এই পতাকার নকশাকারদের অন্যতম ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশ। ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাত এগারটার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন।পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৯৭২ সালে শিব নারায়ণ দাশের নকশা করা সবুজ জমিনে বাংলাদেশের যে হলুদ মানচিত্রটি ছিল তা বাদ দিয়ে, পতাকার মাপ ও রঙ ঠিক রেখে কামরুল হাসানের ডিজাইন করা লাল–সবুজের পতাকাটিই বাংলাদেশের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়। ১৯ এপ্রিল ২০২৪ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু হয়।
পতাকার ডিজাইনের পরিবর্তনের কারন
- পতাকার দুই দিক থেকে মানচিত্রটি সঠিকভাবে দেখা যাবে না।
- পতাকার দুইদিকে মানচিত্রের সঠিক উপায়ে সেলাই নিয়ে জটিলতা হবে।
- চিত্রশিল্পী ব্যতিত অন্যদের পক্ষে পতাকা আঁকা কঠিন হয়ে যাবে।
জাতীয় পতাকা মাপ
বাংলাদেশের পতাকার
দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট, লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২ ফুট, পতাকার
দৈর্ঘ্যের সাড়ে ৪ ফুট ওপরে প্রস্থের মাঝে হবে লাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু।
ভবনে
ব্যবহারের জন্য ‘পতাকা’র আয়তনঃ
- (ক) ১০ ফিট x ৬ ফিট
- (খ) ৫ ফিট x ৩ ফিট
- (গ) ২.৫ ফিট x ১.৫ ফিট
গাড়ীতে
ব্যবহারের জন্যপতাকা’র আয়তনঃ
- (ক) ১৫ ইঞ্চি x ৯ ইঞ্চি………….. বড় গাড়ীর জন্য
- (খ) ১০ ইঞ্চি x ৬ ইঞ্চি………….. ছোট এবং মাঝারি আকারের গাড়ীর জন্য
আন্তর্জাতিক এবং দ্বিপাক্ষিক কনফারেন্সের জন্য ‘টেবিল পতাকা’র আয়তন ১০ ইঞ্চি x ৬ ইঞ্চি
FAQ
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার নকশা কে তৈরি করেন ?শিব নারায়ণ দাস।
বাংলাদেশের বর্তমান পতাকার রূপদান করেন কে ?
কামরুল হাসান।
কত সালে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয় ?
১৯৭১ সালের ২ মার্চ।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মাপের অনুপাত কি ?
পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট, লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২ ফুট